দেহ পড়ে আছে ঘরের মশারির মধ্যে, পুলিশ এসে বলল ‘মাথা থানায়’!

– ভারতের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ গরম পড়েছে। তাপমাত্রা তীব্র আকার ধারণ করায়

রাতে ঘরের বাইরেই শুতে পছন্দ করতেন সত্যনারায়ণ মুণ্ডা নামের এক লোক। তবে

মশার জ্বালায় মশারি টাঙিয়ে বাইরেই শুতেন।

বাড়ির লোকজন মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আঁতকে ওঠেন।

মশারির মধ্যে সত্যনারায়ণ মুণ্ডা শুয়ে আছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর মাথা নেই। রক্তে ভেসে

যাচ্ছে চারধার। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে

মাথাহীন দেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশ জানাচ্ছে, সত্যনারায়ণ মুণ্ডাকে হত্যা করেছে তাঁরই তুতো ভাই উজ্জ্বল মুণ্ডা।

পুলিশের এমন দাবির কারণও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে উজ্জ্বল সকালে ভাইয়ের কাটা

মাথা নিয়ে সোজা হাজির হয় থানায়। রাতেই ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথা কেটে হত্যা

করে সে। তারপর ভোরে মাথা নিয়ে সোজা হাজির হয় পুলিশ স্টেশনে। ফলে পুলিশকে

বেশি ছোটাছুটি করতে হয়নি। আততায়ী নিজেই এসে ধরা দেয় পুলিশের কাছে।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সম্বলপুর জেলার তিলেইমাল গ্রামে। কেন

এমন ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাল উজ্জ্বল? পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুরনো শত্রুতা

ও পারিবারিক বিবাদের জেরেই তুতো ভাইকে এমনভাবে খুন করেছে সে।

যদিও সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এমন ভয়ংকর

ঘটনায় গ্রাম জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।